কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় আগামী একমাস রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
এজন্য এলাকাবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা চুরির বিষয়ে ইতোপূর্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়মে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, সবার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বড়পুকুরিয়া নিয়ে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকরিয়া খনির কয়লা চুরি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত কিছু বিদ্যুৎ রংপুর অঞ্চলে সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংকট মোকাবেলায় সিরাজগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
কয়লা সংকটের কারণে রবিবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে বড়পুকুরিয়া কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সদস্য (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের দুই ইউনিটের একটিতে ৮৫ মেগাওয়াট অন্যটিতে ২৭৫ মেগাওয়াট মিলিয়ে মোট ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এই বিদ্যুৎ ঘাটতিতে পড়তে হবে।