হতদরিদ্র মানুষদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি ভিজিডি, ভিজিএফসহ ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে যেন কোনো অভিযোগ না উঠে সে জন্য কঠোর নজরদারি করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সচিবালয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কামরুল বলেন, ‘ভিডিজি, ভিএসএফ, খাদ্যবান্ধবসহ সরকার কয়েকটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার ওপর নজরদারি বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছি।’
এছাড়া বন্যা, অতি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে খাদ্য গুদামের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার তাগাদা দেয়া হয় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে।
কামরুল বলেন, “ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ‘জিরো হাঙ্গার পলিসি’ গ্রহণ করেছে সরকার। এই পলিসি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য ডিসিদের নির্দেশ দেয়া।’
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে পাহাড় ধস রোধে গাছ লাগানোর পাশাপাশি বনের জমি ইজারা না দেওয়ার নির্দেশনা দেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
‘বৃষ্টির মৌসুমে পাহাড় ধস হবেই, তবে আমাদের সাবধান থাকতে হবে’ এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে পাহাড় ধস হচ্ছে। বনখেকোরা বন কেটে উজাড় করে ফেলছে, আবার কেউ বন সাফ করে জুম চাষ করছে। ফলে পাহাড়ের ওপরে মাটি আঁকড়ে রাখার গাছের শিকড় না থাকায় মাটি নরম হয়ে তা ধসে পড়ছে।’
‘জমি, পাহাড় ও বন দখল একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, অপরদিক থেকে আবার তারা দখল করছে। এজন্য আলাদা একটি চক্রই রয়েছে। আশা করছি এভাবে উচ্ছেদ করতে করতে একসময় সচেতনতা বাড়বে এবং এসব দখল কালচার বন্ধ হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গারা পাঁচ হাজার একর জমির গাছগাছালি উজাড় করে ফেলেছে। যেহেতু মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে সেহেতু এই ক্ষতি আমাদের মানতেই হবে।’
‘বেশিরভাগ গাছ রোহিঙ্গারা ব্যবহার করেছে জ্বালানির কাজে। রোহিঙ্গাদের জ্বালানির কাজে ব্যবহারের জন্য আমরা গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে এই চিন্তা থেকে আপাতত তা বাদ দিয়ে কয়লা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’