আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গজনি প্রদেশে সোমবার এক গাড়িবোমা হামলায় কমপক্ষে সাতজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় আহত হয়েছে ৪০ জনের বেশি মানুষ।
|কাবুলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গজনির প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ হামলার খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে গজনির প্রদেশের ন্যাশনাল ডাইরেক্টরেট অফ সিকিউরিটির স্পেশাল ইউনিটের ভবনের কাছে ওই গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত এবং আরও ৪০ জন আহত হন। হামলায় হতাহতদের বেশিরভাগই গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন।
এ হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবান। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, তালেবানদের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত গজনি প্রদেশে এই হামলার পিছনে এই সশস্ত্র দলটির হাত রয়েছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আফগান তালেবান মার্কিন সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ওই চুক্তিতে তারা মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা চালাবে না বলে ওয়াদা করেছে। এরপর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা জোরদার করেছে তালেবান।
দেশটিতে মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় তিনটি রক্তক্ষয়ী হামলার ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত মঙ্গলবার কাবুলের এক প্রসূতি ওয়ার্ড ও জানাজা অনুষ্ঠানে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই দুই হামলায় নিহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ৪০ জন। আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ।
হাসপাতাল থেকে গোরস্তান কেউ নিরাপদ নয়, নিহত ৪০
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ’র মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি স্বাক্ষরের মাত্র একদিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। ওই দু'পক্ষই গত সেপ্টেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।
রোববার স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ঘানি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে আবদুল্লাহ দেশের জাতীয় পুনর্মিলন হাই কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেবেন।
সূত্র: আল জাজিরা