ভারতে গত সোমবারেই করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। মঙ্গলবার সেই সংক্রমনের সংখ্যা আরও বাড়লো।
ভারতে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট করোনায় আক্রান্ত ১ লাখ ১ হাজার ১৩৯ জন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৬৩ জনের। দেশজুড়ে চতুর্থ দফার লকডাউন চলা সত্বেও থামানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা।
এদিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গর রাজ্য সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাজার, স্থানীয় পরিবহন, সেলুনসহ একাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল, কলেজ, থিয়েটার বা বড় বড় শপিংমলগুলি বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, ভারতের সার্বিকভাবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে জারি থাকবে লকডাউন। এই ১৪ দিনের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন গাইডলাইন জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার তার গাইডলাইনে জানিয়েছে, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভারতের সমস্ত অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অন্তর্দেশীয় ওষুধ পরিষেবার জন্য বিমান চলাচল করবে। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চালু থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
ভারতে চতুর্থ দফার লকডাউনে মেট্রো পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। নাইট কারফিউ কড়াভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, সন্ধ্যে ৭ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারি থাকবে। জারুরি প্রয়োজন ছাড়া অনুমতি ব্যতীত কখনই রাস্তায় বের হওয়া যাবে না।