সংখ্যায় কম হলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। মাঝে মধ্যে শিশুদের মৃত্যুদের মৃত্যুর খবরও আসছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
আবার কখনও কখনও করোনায় আক্রান্ত শিশুদের অন্য কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে, যা হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। এমনই কিছু ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার কোভিংটনের বাসিন্দা ১২ বছরের জুলিয়েট ডালির জীবনে।
করোনা পজিটিভ হওয়ার পাশাপাশি সে আক্রান্ত হয়েছিল ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোম’ অর্থাৎ এমআইসিতে। যার জেরে ভয়াবহ রকম অসুস্থ হয়ে পড়েছিল মেয়েটি। তার হার্ট বিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দু’দুবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে পেরেছে।
এমনকি, তার মনেও নেই, কখন তার হৃদযন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। রোগকে জয় করে, ১২ বছরের এই মেয়েটি এখন বাড়িতে বসেই অনলাইনে স্কুলও করছে খোশমেজাজে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরেই অসুস্থ বোধ করছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত জুলিয়েট। বমি, ক্লান্তি আর জ্বরের পাশাপাশি ঠোঁট ক্রমশ নীলচে হয়ে আসছিল তার।
পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে মা ও বাবা জুলিয়েটকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষা করে জানা যায়, জুলিয়েট কোভিড পজিটিভ হওয়ার পাশাপাশি যে রোগে আক্রান্ত, তা বিশ্বে গত কয়েক মাসে ব্রিটেন ও ইটালির খুব অল্প সংখ্যক শিশুদের মধ্যে দেখা গিয়েছে।
তখন চিকিৎসকরা জুলিয়েটের বাবা-মাকে জানান, এই উপসর্গের নাম মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিন্ড্রোম। জুলিয়েটকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। পরে ঠিক করা হয় অন্যত্র এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হবে।
কিন্তু, এই সময়ই ঘটে বিপত্তি। চিকিৎসকরা জানান, হার্ড অ্যাটাক হয়েছে জুলিয়েটের। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের জানা যায়, তাকে সুস্থ করে তোলা গিয়েছে।
এর কিছু সময় পর হেলিকপ্টারের জন্য অপেক্ষা করার সময় আরও একবার হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায় ছোট্ট জুলিয়েটের। সঙ্গে সঙ্গে বিকল হয়ে পড়তে শুরু করে দেহের অন্য অর্গানগুলো। তবে এবারও চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় কেটে যায় বিপদ।
জ্ঞান ফেরার পর জুলিয়েট জানতেই পারে না, তার হৃদয় দু’দুবার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল!
মেয়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে আসায় দারুণ খুশি জুলিয়েটের বাবা-মা। তারা চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন