ভোটে জেতার এক মাস পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাহাঙ্গীরকে শপথ পাঠ করান সরকার প্রধান। একই অনুষ্ঠানে পরে কাউন্সিলদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জনপ্রতিনিধিরা সবাই আইন ও বিধি বিধান অনুযায়ী কাজ করার অঙ্গীকার করেন। আর মানুষের সেবা, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৬ জুনের ভোটে হাজীপুরে প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারকে হারান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনপ্রিতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করাই প্রত্যেকের জনপ্রতিনিধির কর্তব্য।’
দেশের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনের জন্য সরকার তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের এই গতিধারা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে।’
মেয়র ও কাউন্সিলররা নিজ নিজ দলের সমর্থকদের ভোটে জিতলেও এখন তারা সবার জনপ্রতিনিধি বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে যারাই নির্বাচিত হয়েছেন আপনারা এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন।’
নয় বছরে রাষ্ট্র পরিচালনায় অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে থেকে সরকারের উন্নয়নের এই ধারণা আজ সারাবিশ্বের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনে জিতে আসতে পারলে গ্রামে শহরের নাগরিক সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন শেখ হাসিনা।
‘আমরা ধীরে গ্রামের মানুষকে সম্পূর্ণভাবে নাগরিক সুবিধা দেব। আমরা পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করার চেষ্টা করছি। আপনারা নির্বাচিত প্রতিনিধি জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছে। যারাই নির্বাচিত হয়েছেন তারাই উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।’
২০২০ সালে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।