পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় গোটা দেশে লকডাউন না দিয়ে স্মার্ট লকডাউন চালুর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
ইমরান খান জানান, স্মার্ট লকডাউন পদ্ধতি হল পুরো দেশে লকডাউন না করে যে স্থানটি করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত সেই স্থানেই লকডাউন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী স্মার্ট লকডাউন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া গতি নেই। এখনও এই ভাইরাস প্রতিরোধের কোনও টিকা বের হয়নি। যত দিন না টিকা মিলছে, যে কোনওভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৬৭১ জন। মারা গেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। সেখানে সুস্থ হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫৫ জন মানুষ।
এ অবস্থাতেও গোটা দেশে লকডাউন করতে রাজি নন ইমরান খান। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইতিনি জানান, দেশে দীর্ঘ সময় ধরে টানা লকডাউন চালানো অসম্ভব। অর্থনীতির ধস ঠেকানোর জন্য আপাতত পুরো লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। তার বদলে স্মার্ট লকডাউন চালু হচ্ছে।
পাকিস্তানে করোনার সর্বাধিক হামলা হচ্ছে সিন্ধ প্রদেশে। ৩৮ হাজারের বেশি আক্রান্ত এই প্রদেশে। তার পরেই রয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ। এখানে ৩৭ হাজার পার করেছে আক্রান্তদের সংখ্যা। সবথেকে কম আক্রান্ত হয়েছে আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।