logo
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০১৮ ১৫:৪৫
কয়লা চুরি শুরু বিএনপির আমলে
নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়লা চুরি শুরু বিএনপির আমলে

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা ‘গায়েব’ হওয়ার শুরুটা বিএনপির সরকারের আমলে-বলেছেন হাছান মাহমুদ। বলেছেন, বর্তমান সরকার এই ‘চোরদের’ ধরছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন হাছান। ‘জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের রাজনীতি’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ’ নামে আওয়ামী লীগপন্থী একটি সংগঠন।

সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লার হিসাব না পাওয়ায় তোলপাড় হচ্ছে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। খনির চার কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

অবশ্য খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০০৫ সাল থেকে তোলা এক কোটি ১০ লাখ টন কয়লার মধ্যে এক শতাংশের কিছু বেশি কয়লার হিসাব মিলছে না। এটা কয়লা পরিবহন ও মজুদের সময় সিস্টেম লস।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৫ সালে আপনারা (বিএনপি) বড় পুকুরিয়ার কয়লা চুরিটা শুরু করেছিলেন। সেই ধারাবাহিতায় কিছু কর্মকর্তা চুরির সাথে যুক্ত ছিলেন। আমাদের সরকার সেই চোরদের ধরেছে এবং এই চোরদের ধরার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালে কারা চুরির সাথে যুক্ত ছিল সেটিও নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে।’

এই কয়লা চুরির দায় প্রধানমন্ত্রীর বলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যেরও জবাব দেন হাছান। বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় চুরি এবং দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়, যাদের চেয়ারপারসন এতিমের টাকা চুরির কারণে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে সাজা ভোগ করছেন, যাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুই দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে দেশান্তরী হয়েছেন এবং লন্ডনে টেক্স ফাইলে চুরির অর্থ জায়েজ করার জন্য বলেছেন জুয়া খেলার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন, যাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই দেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে যায়, যাদের চেয়ারপারসনের প্রয়াত পুত্র দেশান্তরি হয়ে মালেশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিলেন, যাদের দুর্নীতি সিঙ্গাপুরে উৎঘাটিত হয়, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে তাদের দলের নেতাদের আমেরিকাতে শাস্তি হয়, তারা আবার বড় গলায় কথা বলেন। অর্থাৎ চোরের মায়ের বড় গলা।’

বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদ নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। বলেন, ‘নেতাকর্মী যাদের ঢাকায় ঢাকছেন তাদের উপর কি আপনাদের আস্থা আছে? আস্থা নাই। কারণ, যে নেতারা তাদের কর্মীদের মাঠে ফেলে পালিয়ে যায় সেই নেতাদের উপর কর্মীদের কোনো আস্থা থাকে না।’

‘তৃণমূল নেতাদের (বিএনপির) কাছে আমি আশা করব, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বলবেন আপনারা দয়া করে আর পেট্টল বোমা এবং গাড়ি ভাঙচুরের কর্মসূচি দেবেন না, বরং নির্বাচনে যাওয়ার কর্মসূচি আপনারা দেন।’

আয়োজক সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ নওশের আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েত ইসলাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।


প্রকাশক/সম্পাদক: আবুল হারিস রিকাবদার
প্রকাশক ও সম্পাদক কর্তৃক প্রথম বাংলাদেশ/শিবপুর, নরসিংদী থেকে প্রকাশিত
ফোনঃ বার্তা-০১৭০০-০০০০০০, বিজ্ঞাপন-০১৯০০-০০০০০০, ই-মেইলঃ prothombangladeshnews@gmail.com