বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আলোচনা-নির্বাচন কিছুই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন- বিএনপি চাইলে আলোচনা করতে রাজি; ভালো, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তো বহুবার বলেছি। আমরা বলেছি- জনগণের কিছু দাবি-দাওয়া আছে আমরা তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। আওয়ামী লীগ যদি আলোচনা করতে আগ্রহী হয় তাহলে আমি মনে করি এটা একটা ভালো লক্ষণ। তবে যিনি একথা বলেছেন তিনি কতক্ষণ একথার ওপর স্থির থাকতে পারবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে।’
তিনি বলেন,‘আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের সন্তোষজনক স্থানে পৌঁছানো সম্ভব। আমরা স্বাগত জানাবো এবং আমরা চাইবো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। কারণ তাকে কারগারে রেখে আলোচনা-নির্বাচন কিছুই সম্ভব হবে নয়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা দণ্ড মওকুফের কথা বলছি না। আপনারা আদালতের ওপর প্রভাব খাটিয়ে তাকে আটক রেখেছেন। আমরা চাই তিনি জামিনে মুক্ত হোক, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। আমরা তার নেতৃত্বে আলোচনা করতে চাই। তিনি মুক্ত হলে তার নেতৃত্বেই আমরা নির্বাচনে যাব। ’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। বেগম খালেদা জিয়াকে আটক রেখে কারো সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তার প্রাণনাশ করতে চায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হবে।’
সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকারের আমলে মানুষের নূন্যতম অধিকার নেই। গার্মেন্টস মালিকরা ফুলে ফেপে বড় হয়েছে, আর শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরির দাবিতে রাজপথে। সকল পেশার মানুষ আজ অতিষ্ঠ। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এই অবস্থায় দেশবাসীর কাছে আমাদের আহ্বান- আসুন আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, জনগণের শাসন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার গঠনের জন্য লড়াই করি। মানুষ সুযোগের অপেক্ষায় আছে একটা অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের। সেই নির্বাচন হতে হবে সকলের অংশগ্রহণে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম ওবায়েদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।