অনলাইন ডেস্ক
নেপালে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে শনিবার রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। ওই বিক্ষোভ থেকে কমপক্ষে ১০ জনকে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে সাত জনই বিদেশি নাগরিক।
নেপালে গত ৩ দিন ধরেই করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগে বিক্ষোভ হচ্ছে।
নেপালে গত মার্চে দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্তের পরপরই গোটা দেশে লকডাউন আরোপ করা হয়। এরপরও করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। হিমালয় পর্বতের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা এই ছোট্ট দেশটিতে ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজারে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন মোট ১৬ জন। এ নিয়েই সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। সরকারের বিরুদ্ধে করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে নিয়মিত বিক্ষোভ করছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টিন সুবিধা এবং আরও বেশি করোনা পরীক্ষা এবং করোনা পরীক্ষা ও ওষুধ ক্রয়ের হিসাবে স্বচ্ছতার দাবি তুলেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবারও রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে হাজার খানেক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছিল। সেখান থেকে সাত বিদেশিসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক বিদেশিদের বিরুদ্ধে নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই নেপালি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকালে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ, জলকামান ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করেছিল পুলিশ।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের করোনা মহামারি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে নেপাল সরকার। তারা এ পর্যন্ত করোনা নিয়ন্ত্রণে ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করারও দাবি করেছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ৩ লাখ ১০ হাজার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এছাড়া আরও দেড় লাখেরও বেশি মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তবে এসব ব্যবস্থাকে করোনা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট বলে মনে করছে না বিক্ষোভকারীরা।