ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০১৮ ১৬:৩৪

মুগাবেকে ভুলে গেছে তার গ্রাম

ভোরের বাংলা ডেস্ক
মুগাবেকে ভুলে গেছে তার গ্রাম

জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে থেকে ৮৫ কিলোমিটার পূর্বে কুতামা নামে একটি কৃষিপ্রধান গ্রাম। আর এই গ্রামেই অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটছে এবার। প্রায় ৪০ বছর ধরে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের এই দেশটিকে শাসন করা রবার্ট মুগাবের জন্মস্থান এই কুতামা গ্রাম।

১৯৮০ সালে দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনেই এই মুগাবের পোস্টারের ছেয়ে যায় গ্রামটি। গাছ থেকে শুরু করে গাড়ির জানালা সবখানেই থাকত মুগাবের নির্বাচনী পোস্টার। নির্বাচনের দিন ফলাফল থাকত সবসময় একই রকম। মুগাবের অপ্রতিরোধ্য জয়। তবে ৯৪ বছর বয়সী মুগাবে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না।

গত বছরের নভেম্বরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে মুগাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার স্থলাভিষিক্ত হন মুগাবের একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তার দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়া।  

আগামী সোমবার জিম্বাবুয়েতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কুতামা গ্রামসহ পুরো দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হবে। এবারের নির্বাচনে ২০ জনের বেশি প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এমারসন নানগাগওয়া জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ দলের প্রধান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জে(এমডিসি) জোটের প্রধান নেলসন চামিসা।   

মুগাবে কাতুমা গ্রামের সন্তান। কিন্তু এই গ্রামের মানুষ তাকে আর পছন্দ করে না।

যে গ্রামে পানি নেই, সেখানে বিদ্যুৎ থাকা একটা বিলাসিতা। মারাত্মক দারিদ্র্য চারপাশে দৃশ্যমান। ভুট্টা, তামাক ও গবাদিপশু লালন-পালন করে তাদের দিন চলে।    

কুতামা গ্রামের অধিকাংশ অধিবাসী বলেছেন, তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট মুগাবের কথা আর স্মরণ করেন না। প্রকৃত অর্থে, মুগাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না তা জেনে তারা খুশি।  

তামাক চাষী তিনাশি মাগুদু আল জাজিরাকে বলেন, ‘এই গ্রামের লোকজন তাকে(মুগাবে) আর পছন্দ করেন না।’

মুগাবের ক্ষমতা থাকাকালীন নির্বাচনে মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করত। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দিত। কিন্তু এবারে নির্বাচনের কয়েক দিন আগেও এই গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত, নিরব।  

২৭ বছর বয়সী মাগুদু বলেন, ‘কোনো সহিংসতা নেই। এখানে শুধু শান্তি। আপনার সবকিছু বলার স্বাধীনতা আছে। এখানে সন্ত্রাসের কোনো রাজত্ব নেই। এটা খুবই ভালো।’

উপরে