আসামে নাগরিকপঞ্জি: নাম নেই সাবেক রাষ্ট্রপতি পরিবারের
মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম পেশায় শিক্ষক। এনআরসি (জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন) -তে আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করার দায়িত্ব ছিল তার ওপরে। সোমবার তালিকা বের হওয়ার পর দেখা গেল সেই তিনি ও তার সন্তানরা তালিকার বাইরে! তাদের নাম রয়েছে 'ডি-ভোটার' হিসেবে।
বাদ পড়া ৪০ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে সোয়া লাখ ডি-ভোটার ও তাদের বংশধরদের নাম আছে। ৩০ আগস্ট থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাম না থাকা ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু নুরুল এনআরসির চার হাজার ৩০০ জন ‘ইনভেস্টিগেটর’দের এক জন হয়েও বাদ।
প্রশ্ন উঠছে, একজন ডি-ভোটার কি করে অন্যদের নাগরিকত্বের দাবি যাচাই করেন? এ দিকে ডি-ভোটারের তালিকা থেকে মুক্তি না পেলে তার নাম এনআরসি-তে ঢুকবেও না।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদের ছেলে পারভেজ আহমেদ বা তার পরিবারের নাম উঠলেও রাষ্ট্রপতির ভাই, প্রয়াত একরামুদ্দিন আলি আহমেদের নাম লিগ্যাসি ডেটায় না থাকায় তার পুত্র জিয়াউদ্দিনের নামও তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এ কারণে কামরূপের রঙিয়ায় থাকা আহমেদ পরিবার উদ্বেগে রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, রাষ্ট্রপতির ভাই-ভাতিজার ভারতীয়ত্ব নিয়ে সন্দেহের অবকাশ কোথায়?
এ তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য আবেদনের সময় এক মাসেরও কম। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। কার্যত দু’মাসের মধ্যে ওই চল্লিশ লাখ মানুষের সব নথি যাচাই শেষ করতে হবে এনআরসিকে।
বিভিন্ন মহলের দাবি, সময় মোটেই যথেষ্ট নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, চিহ্নিত বিদেশিদের ভবিষ্যতের প্রশ্ন ধামাচাপা দিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে আসামকে এক অনিশ্চিত ও অশান্ত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র। কৃষক নেতা অখিল গগৈ আবেদন জানানো ও প্রমাণপত্র জোগাড়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
