জার্মান প্রেমিকা হত্যায় আফগান তরুণের কারাদণ্ড
পনেরো বছর বয়সী সাবেক প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করায় এক আফগান শরণার্থীকে সাড়ে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত।
সোমবার বিবিসি জানায়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই তরুণের নাম আব্দুল মবিন দাউদজাই। গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কানদেলে সাবেক প্রেমিকা মিয়া ভ্যালেনটাইন-কে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন আব্দুল।
কৌঁসুলিরা মনে করেন, সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করায় হিংসা ও ক্রোধের বশবর্তী হয়ে জার্মান নাগরিক মিয়াকে হত্যা করেন তার সাবেক প্রেমিক।
এই ঘটনায় পুরো দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উগ্র ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলো তাদের ব্যাপক শরণার্থী বিরোধী বিক্ষোভ করে।
গত সপ্তাহে জার্মানির পূর্বাঞ্চলের শহর চেমনিজে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাতে আহত করে সিরিয়া ও ইরাকের দুজন নাগরিক। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
কৌঁসুলিরা জানান, মিয়া এবং আব্দুলের একটি স্কুলে পরিচয় হয়েছিল। এরপর তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তা বেশ কয়েক মাস স্থায়ী হয়। মিয়াকে হত্যার কয়েক সপ্তাহ আগে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
গত ২৭ ডিসেম্বর মিয়াকে আব্দুল একটি রান্না ঘরে ব্যবহৃত ছুরি দিয়ে সাতবার আঘাত করেন।
এই ঘটনার আগে আব্দুল মিয়াকে উত্ত্যক্ত করতো ও হত্যার হুমকি দিয়েছিল। মিয়া তার মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগও করেছিল।
আব্দুলের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, লানদাউ ডিস্ট্রিকট কোর্টের রায় ঠিকই আছে বলে তিনি মনে করেন এবং তার মক্কেল সাড়ে আট বছরের কারাদণ্ড ‘মেনে’ নিয়েছে।
রুদ্ধদ্বার জুভেনাইল কোর্টে এই মামলার কার্যক্রম চলে। কৌঁসুলিরা আব্দুলের ১০ বছর কারাদণ্ড দাবি করেছিল।
আফগান নাগরিক আব্দুল বলেছিল, হত্যাকাণ্ডের সময় তার বয়স ১৫ ছিল। কিন্তু একজন মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞ তার বয়স ১৭ থেকে ২০ বছর বলে মতামত দেন।
২০১৬ সালের এপ্রিলে আব্দুল ডি জার্মানিতে আসেন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার জার্মানিতে থাকার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়।
