ঢাকা, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:১৬

অ্যাটর্নি জেনারেলকে আক্রমণ ট্রাম্পের

ভোরের বাংলা ডেস্ক
অ্যাটর্নি জেনারেলকে আক্রমণ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে দুজন রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্যকে অংশ নেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করায় অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনকে দোষারোপ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ তাদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য চলছে। খবর বিবিসির।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তা ট্রাম্প বলেছেন, বিচার বিভাগের অভিযোগপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত ‘সহজ জয়কে অনিশ্চয়তার’ দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ওই দুই রিপাবলিকান ট্রাম্পের সমর্থক। একজনের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং অন্যজনের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযানের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রাশিয়ার বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্রেও সেশনের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা জড়াচ্ছেন ট্রাম্প।

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে জয়ী করতে মস্কো সহায়তা করেছিল- এমন অভিযোগের তদন্ত থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জেফ সেশন।

এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোসেন্সটেইন এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই-এর সাবেক প্রধান রবার্ট মুলারকে বিশেষ পরামর্শক নিয়োগ দেয়। ট্রাম্প বরাবরই একে ‘যাদুকর খোঁজা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে সেশনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এটি সাম্প্রতিক বিতর্ক। এই নির্বাচনের মাধ্যমে মার্কিন পার্লামেন্টের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস-এ রিপাবলিকানদের কাছ থেকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে ডেমোক্র্যাটরা।

এই মামলার সমালোচনা করে টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘তারা দুজনই খুব জনপ্রিয় রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান।’

গত মাসে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ক্রিস্টোফার কলিন্সের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য প্রকল্পে অংশ নেয়ার চার্জশিট জমা দেয়া হয়। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, তিনি আবার নির্বাচনে অংশ নিতে চান না।

আগস্টের শেষের দিকে অপর রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ডানকান হান্টার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী তহবিলের অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খরচ করায় অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়। তারা উভয়ই এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

হান্টারের বিরুদ্ধে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তদন্ত শুরু হয় এবং কলিন্সের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় গত বছর।

মার্কিন বিচার বিভাগ ট্রাম্পের টুইটের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে এ নিয়ে টাম্পের নিজের দলসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে সমালোচনা হচ্ছে।

রিপাবলিকান সিনেটর বেন সাসি বলেছেন, বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকভাবে নিরেপক্ষ রাখা উচিত এবং বিচারকার্য চলবে কি চলবে না- তাদেরই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

উপরে