ঢাকা, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১১:৫৩

নিরাপত্তা পরিষদে রোষের মুখে সভাপতি ট্রাম্প

ভোরের বাংলা ডেস্ক
নিরাপত্তা পরিষদে রোষের মুখে সভাপতি ট্রাম্প

জাতিসংঘে চলছে ৭৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা। সেখানে প্রথমবারের মত নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের প্রস্তাব দিয়ে উল্টো রোষের মুখে পড়েন তিনি।

বৈঠকে বক্তৃতাকালে ইরানকে আক্রমণ করে কথা বলেন ট্রাম্প। এসময় ইরানের পরমাণু সমঝোতা বিপক্ষে ট্রাম্প কথা বললেও অন্য দেশগুলো এই সমঝোতার পক্ষে কথা বলেন। এতে সভাপতি হিসেবে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ট্রাম্প।

বৈঠকের শুরুতে ট্রাম্প তার ভাষায় মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ও গোলযোগ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায় বলে অভিযোগ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে অর্জিত অর্থ মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের কাজে ব্যয় করেছে তেহরান। খবর পার্সটুডের।

ইরান শুরু থেকেই এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওয়াশিংটনকে প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে এসেছে।

ট্রাম্পের বক্তব্যের পর ইউরোপীয় দেশগুলোর পাশাপাশি রাশিয়া ও চীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইরানের পরমাণু সমঝোতার পক্ষে কথা বলেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পরমাণু সমঝোতাকে সমর্থন করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

এরপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, ইরানের পক্ষ থেকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন ঠেকানোর জন্য পরমাণু সমঝোতার চেয়ে ভালো কোনো উপায় নেই; কাজেই এ সমঝোতা রক্ষা ও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।

ট্রাম্পের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ করার প্রচেষ্টার মারাত্মক ক্ষতি করেছে। রাশিয়া এ সমঝোতা রক্ষা করার লক্ষ্যে চীনসহ অন্যান্য দেশকে নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠকে ইরানের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘আমেরিকা আবারো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অপব্যবহার করল। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে নিজেকে আরো বেশি একা ও অসহায় অবস্থায় পেল ওয়াশিংটন। এ ধরনের বিষয়গুলো থেকে আমেরিকা আর কবে শিক্ষা নেবে?’

উপরে