বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না এরদোগান
চলতি মাসের শেষে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত হবে জি টোয়েন্টি সম্মেলন। সম্মেলনে অংশ নিলেও সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এখবর নিশ্চিত করেছে তুরস্কের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘এ হাভের’।
তুর্কি গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এরদোগান আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স শহরে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ বা সৌদি কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না। অবশ্য এই খবর প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তুরস্কের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত আনাদোলু বার্তা সংস্থা এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিনের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল, বিন সালমানের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ ‘হতে পারে।’
গত দুই অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সৌদিকে অভিযুক্ত করে তুরস্ক।ঘটনার একের পর এক প্রমাণ প্রকাশিত হতে থাকে গণমাধ্যমে। এ ঘটনায় সরাসরি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত বলে দাবি করেছে অনেক গণমাধ্যম। এছাড়া এতে বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিআইএ।
হত্যার পর টেলিফোন আলাপ এবং অডিও রেকর্ডের বরাত দিয়ে তুরস্ক জানিয়েছে এ ঘটনায় সৌদি রাজপরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি জড়িত। তবে খাসোগি হত্যাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে এ ঘটনার সঙ্গে রাজপরিবারের কেউ জড়িত নয় বলে জানিয়েছে সৌদি আরব।
এ ঘটনার পর ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স। এছাড়া প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য নিয়ে হাজির হচ্ছৈ বিশ্ব গণমাধ্যম। যা বিন সালমানের অবস্থানকে আরো নড়বড়ে করে তুলছে। এছাড়া দু'দেশের সম্পর্কের খুব বেশি অবনতি না হলেও খাসোগি হত্যার বিষয়ে এখনো সৌদির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে যাচ্ছে তুরস্ক।
৫৯ বছর বয়সি খাশোগি এক সময় সৌদি রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচকে পরিণত হন। গ্রেপ্তার এড়াতে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান খাশোগি।
