ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ৪ জুন, ২০২০ ১৩:২২

কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলায় নিহত ১৬

অনলাইন ডেস্ক
কঙ্গোতে ভয়াবহ হামলায় নিহত ১৬


আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বুধবার ভয়াবহ হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে মিলিশিয়ারা। নিহতদের পাঁচজনই শিশু।
স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা ও জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হেনরি জুগা ট্রাইলো বলেন, বুধবার (৩ জুন) প্রথম প্রহরে ইতুরি প্রদেশের হেমা জাতিগোষ্ঠীর গ্রাম মৌসাতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারী কোডেকো মিলিশিয়ার অধিকাংশ সদস্য লেন্দু জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
ট্রাইলো জানান, হামলাকারীরা চারজন পুরুষ, সাতজন নারী ও পাঁচ মেয়েশিশুকে হত্যা করেছে, যাদের বয়স পাঁচ বছরেরও নিচে। এছাড়া তারা ওই গ্রাম থেকে বেশ কিছু ছাগলও নিয়ে গেছে।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র এবং জাতিসংঘের একটি সূত্র, বুনিয়া শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং উগান্ডা সীমান্তের নিকটস্থ এই গ্রামে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, কঙ্গোতে সংঘটিত হত্যা, শিরচ্ছেদ, ধর্ষণ এবং অন্যান্য বর্বর কর্মকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে বলে।

জাতিসংঘের হিসাব মতে কঙ্গোতে চলতি বছর জাতিগত সংঘাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩শ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে আরও ২ লাখের মতো মানুষ।
দেশটিতে হেমা ও লেন্ডুদের মধ্যে জাতিগত সংঘাতে ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।
২০০৩ সালের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এটি ইউরোপের বাইরে ইইউ’র প্রথম সামরিক মিশন, যার নাম অপারেশন আর্টেমিস।

উপরে