ঢাকা, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ৪ জুন, ২০২০ ২১:২৫

পঙ্গপাল হতে পারে উপার্জনের নতুন রাস্তা, আজব সমাধান ইমরানের

অনলাইন ডেস্ক
পঙ্গপাল হতে পারে উপার্জনের নতুন রাস্তা, আজব সমাধান ইমরানের


অনলাইন ডেস্ক
ঘোর সংকটের সময়। একদিকে করোনার তাণ্ডব। তার ওপর আবার পঙ্গপালের হামলা। এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। তার মধ্যে আবার পঙ্গপালের হানায় ফসল নষ্ট হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইমরান খান এই উভয়সংকট থেকে বেরোনোর আর কোনও রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই ডুবন্ত অর্থনীতি বাঁচতে তিনি এবার আজব সমাধান বের করছেন। পাকিস্তানে মরু পঙ্গপালের হামলা নতুন কিছু নয়। 
তবে পঙ্গপালের সমস্যা নিয়ে দেশটির মন্ত্রীদের আজব দাওয়াই এই প্রথম নয়। এর আগেও পাকিস্তানের এক মন্ত্রী বলেছিলেন, পঙ্গপাল ভেজে খেতে পারলেই সমস্যার সমাধান। বিপদের সময় তাঁর এই আজব সমাধান নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। পঙ্গপাল রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে যা নয় তাই বলেছিলেন ওই মন্ত্রী। ইমরান খান আবার সমস্যার মধ্যে সুযোগ খুঁজে পেলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্দিনে সুযোগের সন্ধান দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই সময় আত্মনির্ভর হওয়ার কথা। দেশজ সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কথা বলেছিলেন তিনি। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যেন মোদিকেই নকল করলেন। পঙ্গপাল সমস্যার মধ্যে তিনি উপার্জনের নতুন রাস্তা খুঁজে বের করেছেন। 
ইমরান খান বলেছেন, পঙ্গপাল ধরে মুরগির ফার্ম এর মালিকদের বিক্রি করতে পারলে লাভের মুখ দেখা যাবে। কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে পঙ্গপাল বিক্রি করা যাবে। আর পঙ্গপাল ধরে বিক্রির ক্ষেত্রে যে কেউ সরকারি সাহায্য পাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেবিনেট বৈঠকের সময় পঙ্গপাল সমস্যার সমাধানে তিনি এই প্রস্তাব দেন। পঙ্গপাল মুরগির খাবার  হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যে কেউ চাইলে পঙ্গপাল ধরে বিক্রি করতে পারবেন। ইমরান খান মনে করেন, এভাবে নতুন একটি পেশার জন্ম হতে পারে। তার এই আইডিয়া অনেকেই আউট অফ দা বক্স বলে জানিয়েছেন। 
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সব থেকে বেশি পঙ্গপালের উৎপাত হয়েছে। মোট ৩১ টি জেলার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২১ টি জেলার ফসল। পাঞ্জাব ও সিন্ধ প্রদেশের চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পঙ্গপাল তাড়াতে পাক সরকার টিনের ড্রাম বাজানো বা বাজি পোড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু এখনও সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্যার সমাধানে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

উপরে