ঢাকা, সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৭ জুলাই, ২০১৮ ১৩:২৫

নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিএনপির আগ্রহ আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিএনপির আগ্রহ আছে

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার না পেয়ে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির আগামী নির্বাচনে যেতে প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন দলটির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সাবেক চীনপন্থী বাম নেতা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিএনপির আগ্রহ, উৎসাহ আছে। তারা হয়তো নির্বাচনে আসবে।’

তবে ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট কেমন হয়, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে বলেও মনে করেন বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী। বলেন, ‘আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের যে অবস্থা যাচ্ছে তাতে বাতাস ঘুরে যেতে পারে। তারা নির্বাচন বয়কটও করতে পারে।’

বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জাফরুল্লাহ।

গত তিন বছর ধরেই বিএনপিকে নানা বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে আসছেন জাফরুল্লাহ। তার তাকেও বেশ গুরুত্ব দেয় দলটি। সম্প্রতি বিএনপি জাতীয় ঐক্য গড়ার যে চেষ্টা শুরু করেছে, তাতে জাফরুল্লাহকেও দেয়া হয়েছে দায়িত্ব।

তিনি সিটি নির্বাচনের বিষয়টি উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘নির্বাচনের বিএনপির নেতাকর্মীরা ভোট দিতে পারলে তাদের মনে একটা আস্থা জন্ম নেবে। নির্বাচন যদি গাজীপুর ও খুলনার মতো তাহলে বিএনপির মনে হবে নির্বাচন করে লাভ কি?’

তবে গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচন নিয়ে জাফরুল্লার এই মূল্যায়ন মানছেন না আলোচনায় অংশ নেয়া সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশে উন্নয়ন হচ্ছে তাই দেশের মানুষ গ্রাহ্য করছেন। তাই গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচনের এ উন্নয়নের প্রভাব পড়েছে।’

২০১৩ সালে এই দুই মহানগরে বিএনপি বেশ বড় ব্যবধানে জিতলেও এবার ১৫ মের ভোটে খুলনায় বিএনপি প্রায় ৬৮ হাজার হার ২৬ জুনের নির্বাচনে গাজীপুরে প্রায় দুই লাখ ভোটে হেরেছে।

বিএনপি অভিযোগ করছে, কেন্দ্র দখল করে সিল মেরে তাদেরকে হারানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এই অভিযোগকে ঢালাও উল্লেখ করে বলেছে, সিল মারার অভিযোগ পেয়ে খুলনায় তিনটি এবং গাজীপুরে নয়টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।

ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘পরাজিত প্রার্থীরা অভিযোগ করতেই পারে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তো পরাজিত প্রার্থী পরাজয় মেনে নিয়েছে।’

তিন সিটি নিরআচনেও জনগণ উন্নয়ন দেখেই ভোট দেবে বলে আশাবাদী সাবেক এই কূটনীতিক। বলে, ‘এইনির্বাচনে তিনটায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে কি না সেটা আমি এখনই বলতে পারব না।’

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সংবিধানে সংসদ বহাল রেখে যে নির্বাচনের কথা বলা আছে, তার সমালোচনা করেনন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘১৯৭৩ সালের নির্বাচনের আগে বঙ্গবন্ধু সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। এখন প্রতিটা স্কুলে মুজিব কর্ণার করবেন, তাকে পড়াবেন কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তকে অসন্মান করবেন তা তো হয় না।’

ভোটের আগে সংসদ না ভাঙলে আওয়ামী লীগেও অসুবিধা আছে বলে মনে করেন বিএনপি ঘনিষ্ঠ এই পেশাজীবী। বলেন, ‘সংসদ ভেঙে দিলে নির্বাচনের পরিবেশ একধাপ এগিয়ে যাবে। এরপর নির্বাচনকালীন সরকারে সবদল অংশ নিলে একটা ভালো নির্বাচন হবে বলে আশা করি।’

উপরে