ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০১৮ ১৭:০৭

নির্বাচনে যেতে চাই: নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনে যেতে চাই: নজরুল

নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সরকার পরিবর্তন চায় এমনটা দাবি করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু নির্বাচনের নামে কোনো খেলায় অংশ নিতে চাই না।’

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া-শিমুল বিশ্বাস ও মেহেরুন্নেসা হকের মুক্তির দাবিতে দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন নামে একটি সংগঠন এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

বিএনপি ষড়যন্ত্র করে না দাবি করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সরিয়ে আমরা দেশ শাসন করতে চাই। আমরা সরকারের পতন চাই। এটা কোনো গোপন কথা নয়, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র করি না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে চাই। এর কোনো বিকল্প নেই। সেই আন্দোলন সফল হবে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনবে।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার দিন সরকার যতোটা ভয়ে ছিল এখন তার চেয়েও বেশি ভয়ে আছে যে, তাকে ছেড়ে দিলে কী হয়। সেজন্য জামিনযোগ্য মামলাও তাকে জামিন না দিয়ে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে।’

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এত নোংরা অভিযোগ আছে যে- অন্য কেউ হলে বা অন্য কোনো সরকার হলে আগেই পদত্যাগ করতো। কিছুদিন আগে জার্মানির একটি সংস্থা বলেছে স্বৈরাচারী দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু সারা বিশ্বের সবাই বলে স্বৈরাচার।’

এমন হাস্যকর সংসদ কোথাও নেই

নজরুল বলেন, ‘দেশে যদি আজ সত্যিকারে নির্বাচিত সরকার থাকতো তাহলে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা দিতে হতো, এই সরকারের জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা নেই, যা ইচ্ছা তাই করছে। তাদের জবাবদিহিতা করতে হয় না, কারণ বর্তমান সরকার এমন একটি সংসদ গঠন করেছে যে সংসদের বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং সেই দলের তিনজন সরকারি দলের মন্ত্রী। এরা সারাদিন সরকারি অফিস করে সংসদে গিয়ে বিরোধীদলীয় আসনে বসে। বিরোধীদলের আসনে বসে সরকারি বিল পাস করে। পৃথিবীর কোথাও এমন হাস্যকর সংসদ নেই, যা বাংলাদেশের চলছে। পৃথিবীর কোথাও সংসদে গণতন্ত্র নিয়ে ইয়ার্কি ফাজলামি চলে না, কিন্তু বাংলাদেশে যেটা চলছে। আমরা বলব এটা এক ধরনের ইয়ার্কি ফাজলামি।’

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটি সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুল, আলমগীর হোসেন, আবদুল আওয়াল, আমিরুজ্জামান শিমুল, মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ।

উপরে