নির্বাচনকালীন সরকারেও মন্ত্রী থাকতে পারেন মুহিত
আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে সরকার গঠিত হবে, তাতেও মন্ত্রী হিসেবে থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে বুধবার বিকালে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির মিটিং শেষে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
আগামী ডিসেম্বরের শেষেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এ জন্য অক্টোবরে ঘোষণা হবে তফসিল। তার আগেই মন্ত্রিসভার আকার পাল্টে যাবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার আকার থাকে ছোট। এখানে নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না, কেবল রুটিন কাজগুলো চলবে। আর তফসিল ঘোষণার আগেই এই মন্ত্রিসভা গঠন হয়ে যাবে।
মুহিত বলেন, ‘আমি আছি, মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যন্ত আছি। সম্ভবত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও থাকবো’। অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার হবে, আমি সেই সরকার মন্ত্রী হতে পারি।’ সেই সরকারে কতজন সদস্য থাকতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নো আইডিয়া’।
এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়েও কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। জানান,ফিলিপাইনের সরকারের আবেদন প্রেক্ষিতে রিজার্ভ চুরির সব নথিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
‘আমি ফিলিপাইনের মন্ত্রীর কাছে একটা চিঠি লিখেছি। এভরিথিংকস সেন্ড টু দেম।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ফিলিপাইনের ব্যাংক আর সি বি সির বিরুদ্ধে আমরা নিউইয়র্কে মামলা করব। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক আমাদের পক্ষে থাকবে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন ব্যাংক আরসিবিসিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি অর্থ ফেরত আনা এখনও অনিশ্চিত।
