ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১২:২৭

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফখরুলের ‘মন খারাপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফখরুলের ‘মন খারাপ’

দলের চার দশক পূর্তি। পঞ্চম দশকের প্রথম বার্ষিকী নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক। কিন্তু আনন্দ নেই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। ‘দুঃখ ভরা’ মন নিয়ে তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে।

শনিবার দলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেরে বাংলা নগর দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল।

এরপর সাংবাদিকদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে থাকা দলটির নেতা বলেন, ‘আজ আমাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এই দিনটি আমাদের জন্য আজ কোন উৎসবের দিন নয়। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি।’

মনে দুঃখ কেন, সেটাও জানান ফখরুল। বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত। তাদেরকে ছাড়াই আমরা আজ এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি।’

মনের এই দুঃখকে ক্ষোভে রূপান্তর করতে চান বিএনপি নেতা। অবসান ঘটাতে চান দলের ‘দুঃসময়ের’।

‘আজকের এই দিনে আমরা শপথ করব- এই ফ্যাসিস্ট সরকার, গণতন্ত্রবিরোধী সরকার, সমাজ বিরোধী সরকার যারা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে; রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে; জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতায় বসে মানুষের সকল অধিকার হরণ করেছে; আজকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমাদের শপথ এই দানবকে অপসারণ করে, দুঃশাসনকে অপসারণ করে গণতন্ত্র ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্য এবং  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

‘ইনশাআল্লাহ অচিরেই আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব’- আন্দোলনে বিজয়ের ঘোষণা দিয়ে বলেন ফখরুল।

৪০ বছর আগে আজকের দিনটিতেই যাত্রা শুরু বিএনপি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান পাল্টা-অভ্যুত্থানের এক পটভূমিতে ওই বছরের ৭ নভেম্বর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন জিয়াউর রহমান। আর সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নেয়া এই সেনা শাসক প্রথমে তিনি ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা হয় বিএনপি।

দলের প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ।

যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলামও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরীন খান, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

উপরে