পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া দরকার আ.লীগের : মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, খুব শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। অতি শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। যার মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে লাখ লাখ মামলা দেয়ার একটাই উদ্দেশ্য, সেটা হলো আবারো বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। মূলত সরকারের অলিখিত বাকশালকে প্রতিষ্ঠা করতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ভুতুড়ে মামলা দেয়া হচ্ছে।
‘২১ আগস্ট মামলার রায়ের পরে বিএনপির আর নিবন্ধন থাকতে পারে না’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডকেই সমর্থন করি না, তবে অতীতে রমনার বটমূলে আ’লীগ সরকারের আমলে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? এসব ঘটনার জন্যে তাহলে অনেক আগেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত ছিলো।
তিনি ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনি বেশি কথা বলেন। গ্রামের চায়ের দোকানেও আপনার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে আওয়াজ উঠেছে এই স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ নীতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে যে বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া অংশগ্রহণ মুলক নির্বাচন হবে না। এবং জাতীয় ঐক্য ছাড়া জনগণকে এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
