ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ১১:২১

আবার হাসানাত-স্বপনের লড়াই?

ভোরের বাংলা ডেস্ক
আবার হাসানাত-স্বপনের লড়াই?

গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। এখান থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ছাড়া কেউ দলীয় ফরম তোলেননি।

অন্যদিকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন আবার দলে ফিরে আসায় তিনি মনোনয়ন পাবেন কি না, এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলে অবস্থান হারান স্বপন। এরপর অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়েন। তবে সম্প্রতি তাকে দলে ভিড়িয়েছে বিএনপি।

১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে জেতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোনের স্বামী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যারা নিহত হন তাদের মধ্যে সেরনিয়াবাতও ছিলেন।

আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ১৯৯১ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আবার জেতেন তিনি। সে সময় তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির কাজী গোলাম মাহবুব। ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে জেতেন স্বপন।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে মামলা জটিলতায় ভোটে আসতে পারেননি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। নৌকা প্রতীক পান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। তিনি বিএনপির আব্দুস সোবাহানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।

তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ফিরে আসেন হাসানাত। নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। মূলত দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনিই এখন পর্যন্ত নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

গত ১০ বছরে এই নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করছেন হাসানাতের অনুসারীরা। আর ভোটে এর প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদী তারা। এই আসনে এখন পর্যন্ত ভোটের মাঠে প্রতিযোগীরা সেভাবে সক্রিয় হননি।

স্বপনকে নিয়ে বিএনপিতে বিবাদ
বিএনপি নিজেকে শক্তিশালী করার আশায় সংস্কারপন্থী স্বপনকে ফিরিয়ে বেকায়দায় পড়েছে। তৈরি হয়েছে বিবাদ।

স্বপন ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকন কুদ্দুসুর রহমান, ২০০৮ সালের প্রার্থী আবদুস সোবাহান এবং আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ মনে করছে স্বপনই পাবেন মনোনয়ন। তবে তার বিরোধীরা বলছেন, গত ১০ বছরে দলের বিপদে যার অবদান নেই, তাকে প্রার্থী করলে নেতাকর্মীরা মানবেন না।

এ আসনে ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ২২০ জন। এর মধ্যে এক লাখ ২৯ হাজার ১৭ জন পুরুষ ও এক লাখ ২৮ হাজার ২০৩ নারী।

উপরে