ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫
আপডেট : ২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১১:১৭

ইভিএমে ধারণা নেই বেশির ভাগ ভোটারের

ভোরের বাংলা ডেস্ক
ইভিএমে ধারণা নেই বেশির ভাগ ভোটারের

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে খুলনা-২ (সদর) আসনও রয়েছে। তবে এখানকার সাধারণ ভোটারদের বেশির ভাগেরই ধারণা নেই মেশিনটি সম্পর্কে। এ জন্য ভোট নিয়ে তারা একটি অজানা শঙ্কায় ভুগছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোও ইভিএমের বিরোধিতা করে আসছে।

বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৯০ ভাগ ভোটারই এই মেশিনের সঙ্গে পরিচিত নন। এ জন্য আসনটিতে শতভাগ ইভিএমে ভোটগ্রহণ করতে হলে ব্যাপকভাবে ভোটারদের সচেতনের ওপর জোর দিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইভিএম সম্পর্কে ভোটারদের সচেতন করতে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ইভিএমে কীভাবে ভোট দিতে হবে, তা প্রচার করা হচ্ছে। ভোটের আগে ইভিএম সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রযুক্তির সঙ্গে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের পরিচিতির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। হঠাৎ করেই কোনো প্রযুক্তি শতভাগ রপ্ত করা সম্ভব নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে মাত্র ছয়টি আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। তবে খুলনা-২ আসনের ভোটারদের মধ্যে ইভিএম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে জোরালোভাবে কাজ করতে হবে, যাতে প্রত্যেক ভোটার জেনেবুঝে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।’

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এবং এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘ইভিএম বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা যা সিদ্ধান্ত জানাবেন, সেই মোতাবেক আমরা কাজ করব।’ এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতিতে বরাবরই এই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। আসনটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। এবার এই আসনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল পেয়েছেন নৌকা প্রতীক। তিনি বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে। এ জন্য এবারের নির্বাচনে আসনটিতে চোখ থাকবে দেশবাসীর। নির্বাচন কমিশন লটারির মাধ্যমে যে ছয়টি আসন নির্ধারণ করেছে, এর মধ্যেও আছে আসনটি। ফলে আসনটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।

নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা নিয়ে গঠিত খুলনা-২ আসন। মোট ভোটার দুই লাখ ৯৪ হাজার ৬২ জন। এখানে ১৫৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

 
উপরে