ঢাকায় নেই নির্বাচনী আমেজ
জাতীয় সংসদের নির্বাচনের বাকি এক মাসেরও কম। ইতিমধ্যে সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করলেও ব্যতিক্রম রাজধানী ঢাকা। এখানে নির্বাচনের আমেজ এখনো তেমন চোখে পড়ছে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেলেও রাজধানীতে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। রাজধানীর প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সচেতনতা থেকে আচরণবিধি মেনে প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের নির্বাচনেও ঢাকার আসনগুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে রাজনৈতিক দলগুলো। বেশির ভাগ আসনে বড় দুটি দল তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে কয়েকটি আসনে জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের দেন-দরবার চলছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনের তেমন কোনো আমেজ নেই। সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে রাস্তাঘাটে কথাবার্তা বললেও আনুষ্ঠানিক কোনো প্রচার চোখে পড়েনি। কিছু কিছু এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সরব দেখা গেলেও চোখে পড়েনি বিএনপি জোটের কোনো তৎপরতা।
বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগাম প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আছে। তারা এই নির্দেশনা পালনের চেষ্টা করছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কিছু তারা করতে চান না এজন্য নির্বাচনী প্রচারে সরব হচ্ছেন না। তবে ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা রাজধানীতেও পুরোদমে জমে উঠবে বলে মনে করেন তারা।
রাজধানী এখনো নির্বাচনী আমেজ পুরোপুরি না আসার ব্যাপারে ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচারের অনুমতি মেলেনি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। আনুষ্ঠানিক প্রচারের অনুমতি পেলে আমাদের নেতাকর্মীরা পুরোদমে মাঠে নামবে, আমরাও তখন গণসংযোগে নামতে পারব পুরোপুরি।’ তিনি জানান, এখনো তার নেতাকর্মীরা কিছু কিছু এলাকায় গণসংযোগ করছেন। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছেন।
নির্বাচনের অন্যতম অনুষঙ্গ পোস্টার। তবে প্রেসগুলো এ নো সরব হয়ে ওঠেনি। প্রতীক বরাদ্দ না হওয়ায় এখনো কোনো প্রার্থী পোস্টার ছাপাচ্ছেন না। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে প্রেসগুলো পোস্টার ছাপানোর কাজে সরব হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফকিরাপুল এলাকার ‘প্রিন্টওয়ে’ প্রিন্টিং প্রেসের ম্যানেজার মিন্টু জানান, এখনো কোনো অর্ডার তারা পাননি। নির্বাচনকেন্দ্রিক পোস্টার-ব্যানার ছাপার জন্য এখন তেমন কেউ যোগাযোগ করছে না।
কাঁটাবন কারুকর প্রিন্টিং প্রেসের মালিক খোকন বলেন, ‘নির্বাচনের কাজ বলতে যেটা বোঝায়, তেমন চাপ এখনো পড়েনি। টুকটাক অর্ডার আছে, তবে ওইভাবে কোনো অর্ডার পাইনি।’
