প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় উজ্জীবিত বিএনপি
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে একজনকেই। কিন্তু যাচাইবাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করে দেন প্রার্থিতা। হতাশা পেয়ে বসে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তবে নির্বাচন কমিশনে আপিলের বিএনপি নেতা প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি।
তবে গত রবিবার যাচাইবাছাইয়ের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুলের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। যুক্তি ছিল, তিনি পদত্যাগ করলেও তা গৃহীত হয়নি। তবে গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানির পর ফরিদুলের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই খবরে এই আসনে বিএনপির নেতাকর্মীরা আনন্দিত। যারা ভেবেছিলেন ধানের শীষের কোনো প্রার্থী থাকবে না, তারা এখন জেতার আশাও করছেন।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবিদুর রহমান মিলন বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় আমরা ভীষণ আনন্দিত। এখানে আমাদের প্রার্থিতা নিশ্চিত হলো। জনগণের সমর্থন নিয়ে এখানে ধানের শীষ বিজয়ী হবে।’
প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগও স্বাগত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে। সরিষাবাড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশাহ বলেন, ‘বিএনপির প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন হবে। তবে অতীতের মতো এবারো নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হবে।’
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুরাদ হাসান। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের ছাড়ে এখানে জাতীয় পার্টির মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার জিতলেও এবার আসনটি ছাড় দেয়নি ক্ষমতাসীন দল। ২০০৮ সালে বিজয়ী মুরাদকেই নৌকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মুরাদ ও ফরিদুলের মধ্যে লড়াই হয়েছিল। ওই বছর নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয় পান বিপুল ব্যবধানে। মুরাদের পক্ষে পড়ে এক লাখ ২৬ হাজার ৪৪৩ ভোট। আর ফরিদুলের পক্ষে ৮৫ হাজার ৯৫৫ ভোট।
