সশস্ত্র হামলায় বিএনপির প্রার্থী গুরুতর আহত
শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা-গোসাইরহাট) আসনে ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দীন অপু গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২৫ নেতাকর্মী।
এই ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, তারেক রহমানের এপিএস মিয়া নুরুদ্দীন অপু মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে প্রচারণায় তেমন নামেননি। আজ থেকে সেনাবাহিনী মাঠে নামায় তিনি কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে গণসংযোগে বের হন। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকশ যুবক অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় অপু মাথায় গুরুতর আহত হন। তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় এনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার পর প্রার্থী অপু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে জেনে তিনি আজই প্রথম প্রচারে নামেন। তার প্রচারে হামলার জন্য তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেন।
তবে গোসাইরহাট আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান সিকদার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের কোনো নেতাকর্মী এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি দাবি করেন, বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। প্রার্থীকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার দিতে বলেছিলেন। তবে মাথায় আঘাত হওয়ায় তিনি ঢাকায় চলে গেছেন।
