নাইকো-মামলার-পরবর্তী-শুনানি-১২-ফেব্রুয়ারি
অনলাইন রিপোর্টার ॥ নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামিদের করা আবেদনের উপর শুনানি মুলতবী করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডে পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় করাগারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে আজ সোমবার এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার বিশেষ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো মামলায় আজ চতুর্থ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অনেকটা মলিন চেহারার খালেদা জিয়া আজ শুনানিতে কোনো কথা বলেননি।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামিপক্ষের আবেদনের আংশিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে এ মামলার দালিলিক ডকুমেন্ট চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অপর দিকে এ মামলায় নিজের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
শুনানিতে মওদুদ আহমদ বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। নাইকো চুক্তিটি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় হয়েছিল। পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের সময় তার শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছিল।
এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি এ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে নিজেই শুনানি করেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ । এরপর খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামের পক্ষে আইনজীবী মো: আসাদুজ্জামান। তাদের শুনানি অসমাপ্ত অবস্থায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সাথে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।
