আপনার মোবাইলটি দিয়ে করোনা ছড়াচ্ছেনাতো ?
পৃথিবী জুড়ে চলছে করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। কোন দেশে চলছে লকডাউন আমার কোন দেশে সাধারণ ছুটি। এরমধ্যে মানুষের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু সম্ভবত একবাক্যে মোবাইলই বলা চলে। কিন্তু এই মোবাইলটিই যে করোনা ছাড়ানোর জন্য যথেষ্ট তাকি আপনি জানেন ?
জরুরি প্রয়োজনে হোক বা অপ্রয়োজনেই হোক আপনি যাচ্ছেন বাহিরে, মার্কেটে বা অন্য কারো বাসায়। এরমধ্যে আপনি কিন্তু অনেকবার মোবাইলে কথা বলছেন বা ইন্টারনেট ঘাটছেন। খেয়াল করে দেখবেন যে হাত দিয়ে নানা স্থানে আপনি স্পর্শ করছে সেই হাত দিয়েই বার বার মোবাইল স্পর্শ করছেন। বাসায় ঢুকে ঠিকই হাত ধুয়ে নিচ্ছেন। আর মোবাইল ? না সেটা ধুচ্ছেননা। সেটা আবার ব্যবহার করছেন। বিছানায় রাখছেন বা অন্য কারো হাতে দিচ্ছেন। গবেষকরা বলছেন, করোনা জীবাণু আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ মোবাইলে দিব্যি লুকিয়ে থাকে। তাই দিনে ২ বার করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে মোবাইল ফোনকে।
গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তা প্রকাশিত হয়েছে ট্র্যাভেল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে। ২৪টি দেশের ৫৬টি নথি বিশ্লেষণ করেছেন তাঁরা, দেখেছেন জীবাণু মোবাইল ফোনে স্বচ্ছন্দে লুকিয়ে থাকতে পারে। গবেষকদের বক্তব্য, প্রতিদিন মোবাইল জীবাণুমুক্ত করুন, হয় ৭০ শতাংশ আইসোপ্রোপাইল দিয়ে অথবা ফোনসোপের মত যন্ত্র দিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, ফোনে সর্বাধিক থাকে গোল্ডেন স্টাফ ও ই কোলাই জীবাণু। তাঁদের কথায়, মোবাইল ফোন পাঁচতারা হোটেলের মত, স্পা, ফ্রি বুফে সব থাকে, যাতে জীবাণুরা খুব আনন্দে হাত পা ছড়িয়ে থাকে। আমাদের পকেটে থাকে তাই মোবাইলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত, আমাদের মোবাইলের নেশা, সারাক্ষণ কথা বলছি, ঘাঁটাঘাঁটি করছি আর সর্দি টর্দি হলে নাক চোখ থেকে জলের ফোঁটা মোবাইলে পড়ছে, যা জীবাণুতে ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা। অথচ তা নিয়ে আমরা খাচ্ছি, অর্থাৎ জীবাণুকে পুষ্টিও জোগাচ্ছি।
যেভাবে মোবাইল পরিস্কার করবেন: নিয়মিত হাত পরিষ্কারের পাশপাশি স্মার্টফোনও প্রতি দেড় ঘণ্টায় একবার করে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। কয়েক ফোঁটা স্যানিটাইজার তুলোয় ফেলুন, সাবধানে গোটা ফোন মুছে ফেলুন।
