ডিডিটি খুব সাধারন একটা জিনিস বা কীটনাশক (পেস্টিসাইড)
খুব সাধারন একটা জিনিস বা কীটনাশক | আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সমসাময়িক কালে এটা আম্রিকায় ব্যান করা হয়।
ডিডিটির ভয়াবহতা সর্বপ্রথম ধরা পরে এক গৃহবধূর চোখে। যে এলাকায় ডিডিটি ব্যাবহার করা হয় সে এলাকা পাখি শূণ্য হয়ে যায় ধীরে ধীরে।
এর কারন কি জানেন?
এই জঘন্য বালাইনাশক দেয়া হয় শস্যক্ষেত এ । সেই শস্য সরাসরি পাখি খায়, পাখির পেটে চলে যায় ডিডিটি। সব পাখি আবার শস্য খায় না। যেমন চিল, শকুন, এরা মাংসাশী। বৃষ্টির মাধ্যমে শস্যক্ষেত এর ডিডিটি নদীর পানিতে যায়, সেই পানিতে মাছ থাকে। পাখি নদীর পানি খায় আবার মাছ ও খায়। পানি আর মাছ খাওয়ার মাধ্যমে ডিডিটি চিলের পেটে চলে যায়। সেই চিল কি সংগে সংগেই মারা যায়? আজ্ঞে না চিল মারা যায় না, অন্য কোন পাখি ও মারা যায় না। যা ঘটে তা সাংঘাতিক। ডিডিটির উপস্থিতি তে ক্যালসিয়াম থাকে না শরীরে। ফলে ডিমের খোসা হয় পাতলা। পাখি যখন ডিমে তা দিতে বসে, সেই ডিম যায় ভেঙে। জন্ম নেয় না আর কোন নতুন প্রজন্ম । এভাবে নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র। অবাক করা বিষয় কি জানেন এই ডিডিটি আমরা আজো ব্যাবহার করে যাচ্ছি। কলার থোড় বের হওয়ার সাথে সাথেই দেয়া হয় এই বিষ সেই কলা নিজেরা খাচ্ছি আদরের সন্তানকে খাওয়াচ্ছি। এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত লিখতে চাই।
লেখক- মাহমুদা মমিন
