হাড় ক্ষয় রোগের কারন
আমেরিকার ছোট্ট নিরিবিলি গ্রামের এক গৃহিনির গল্প বলবো আজ। ভদ্রমহিলা খেয়াল করলেন গ্রামে আগে প্রচুর চিল ছিলো এখন আর নেই। সব চিল যেনো হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। তারপর অনুসন্ধান শুরু হলো কি কারনে চিল নেই পাখি নেই গ্রামে। হটাৎ ই তার নজরে এলো নতুন এক কীটনাশক ব্যাবহার হচ্ছে সেখানে। সব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তিনি একটা চিঠি লিখেন র্যাচেল কারসন কে। পরবর্তীতে র্যাচেল কারসন লিখেন তার বিখ্যাত বই সাইলেন্ট স্প্রিং।
লেখিকা অনুসন্ধান শুরু করেন। এলাকার পাখি উধাও হয়ে যাওয়ার কারন জানা যায়। জমিতে ডিডিটি ব্যাবহার এর কারনে। ডিডিটি শরীরে ক্যালসিয়াম জমা থাকতে দেয় না। পাখির পেটে ডিডিটি যাওয়ার ফলে পাখির শরীর ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে পারে না। পাখি ডিমের খোলস খুব পাতলা হয়ে যায়। পাখি যখন ডিমে তা দিতে বসে ডিম ভেংগে যায়। জন্ম নেয় না নতুন পাখি। এভাবেই পাখি শূণ্য হতে শুরু করেছে প্রকৃতি। ১৯৭২ সালে আইন করে আমেরিকায় ডিডিটি ব্যাবহার নিষিদ্ধ করা হয়। খুব ই আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আজো আমরা আমাদের ফসলের জমিতে ডিডিটি ব্যাবহার করি। এমন পরিবার দেখেছি বিছানার নিচে ডিডিটির পোটলা রেখে দেয়, যাতে পিপড়া না আসে। ভয়াবহ ব্যাপার এই যে আমাদের দেশে মসা তাড়াতে যে স্প্রে করা হয় তাতে থাকে ডিডিটি। এই কারনে ঢাকায় চিল দেখা যায় না আগের মতো।
দেশে এখন অনেক হাড় ক্ষয় রোগের রুগী। কারন আমাদের মাটিতে উপকারী শামুক ঝিনুক নাই। এবং খাবারের মাধ্যমে আমরাও প্রতিনিয়ত ডিডিটি খাচ্ছি। ফলাফল শরীরে ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি।
লেখক- মাহমুদা মমিন
